নমস্কার বন্ধুরা, সমাধান অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই। আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব হলো দুর্গোৎসব । দূর্গা পূজার প্রাক্কালে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি দেবী দুর্গার একটি রহস্যময় অজানা তথ্যের ভিডিও নিয়ে। আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত যে ন’টি রাত্রি অবধি মাদুর্গার নয়টি রূপের পূজা চলে যা নবদুর্গা নামে পরিচিত, মা দুর্গার সেই নয় টি রূপের রহস্যময় স্বরূপ এবং তাঁহাদের ধ্যান ও মন্ত্রের কিছু অজানা রহস্যের সম্পর্কে।
আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা ভিডিওটি পুরোটা দেখুন , যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক করুন, শেয়ার করুন। আমাদের চ্যানেলে নতুন হলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন ও নতুন সব ভিডিওর তারা তারি নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকন টিকে প্রেস করে রাখুন।
সময় নষ্ট না করে এবার আসছি আমাদের অজানা তথ্যের আজকের আলোচনায়। দুর্গাপূজা হলো বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব,ত্রেতাযুগে শ্রীরামচন্দ্র শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রচলন করেন। রাবণবধ ও সীতাউদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র দুর্গতিনাশিনী দুর্গার অকালবোধন করে আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত নবরাত্র ব্রত পালন করেছিলেন। এই সময় অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত ন’টি রাত্রি অবধি মাদুর্গার নয়টি রূপের পূজা চলে যা নবদুর্গা নামে পরিচিত।
এইবার জেনে নেওয়া যাক নবদুর্গার এই নয়টি রূপ হল কী কী ?
- প্রথমং শৈলপুত্রীতি দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী ।
- তৃতীয়ং চণ্ডঘণ্টেতি কুস্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
- পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা ।
- সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমম্ ।।
- নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদুর্গাঃ প্রকীর্ত্তিতাঃ ।।
অর্থাৎ এই শ্লোকের মানে হলো এইরূপ –
নবদুর্গার প্রথম দেবী হলেন শৈলপুত্রী (পর্বতের কন্যা)।
নবদুর্গার দ্বিতীয় দেবী হলেন ব্রহ্মচারিণী (যিনি ব্রহ্মাকে স্বয়ং জ্ঞান দান করেন, ভক্তকেও ইনি ব্রহ্মপ্রাপ্তি করান)।
নবদুর্গার তৃতীয় দেবী হলেন চন্দ্রঘন্টা (দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্রের প্রদত্ত ঘন্টা যার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল, চন্দ্রের চেয়েও লাবণ্যবতী ইনি)।
নবদুর্গার চতুর্থ দেবী হলেন কুষ্মান্ডা (উষ্মার অর্থ তাপ। দুর্বিষহ ত্রিতাপ হল কুষ্মা। আর যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে বা অন্ডে ধারণ করেন অর্থাৎ সমগ্র সংসার ভক্ষণ করেন ইনি)।
নবদুর্গার পঞ্চম দেবী হলেন স্কন্দমাতা (দেব সেনাপতি কার্তিকেয় বা স্কন্দের মা)।
নবদুর্গার ষষ্ঠ দেবী হলেন কাত্যায়নী (কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবকার্যের জন্য আবির্ভূতা ইনি বৃন্দাবনে দেবী গোপবালা রূপে পূজিতা। ব্রজের গোপবালারা এই কাত্যায়নীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন নন্দের নন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য তাই ব্রজের দুর্গার নাম কাত্যায়নী)।
নবদুর্গার সপ্তম দেবী হলেন কালরাত্রি (ঋগ্বেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। মহাপ্রলয়কালে এই রাত্রিরূপিণী মাতার কোলেই বিলয় হয় বিশ্বের। অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কালভৈরবের দেহ থেকেই আবির্ভূতা ইনি দেবী যোগনিদ্রা মহাকালিকা বা কালরাত্রি নামে আখ্যাত)।
নবদুর্গার অষ্টম দেবী হলেন মহাগৌরী (তিনি সন্তানবৎসলা, শিবসোহাগিনী, বিদ্যুদ্বর্ণা মা দুর্গার প্রসন্ন মূর্তি)।
এবং
নবদুর্গার নবম দেবী হলেন সিদ্ধিদাত্রী (অপরূপ লাবণ্যময়ী চতুর্ভুজা, ত্রিনয়নী, প্রাতঃসূর্যের মত রঞ্জিতা যোগমায়া মাহেশ্বরী ইনি সকল কাজে সিদ্ধি প্রদান করেন)।
এই নয় দেবী এক মহাশক্তির নয় রূপের প্রকাশ। নয় দেবীর পূজাতে সর্ব প্রকার কল্যাণ হয়। নবরাত্রির পরদিন বিজয়াদশমীর সাথে সাথে এই শক্তিপূজার সমাপন হয়।
এইবার আমরা নবদুর্গার এই নয় দেবীর সম্বন্ধে আপনাদের একটু বিশদে বলার চেষ্টা করছি।
শৈলপুত্রী —
নবদুর্গার প্রথম রূপ ‘শৈলপুত্রী’। ‘শৈল’ অর্থে পর্বত। দেবীকে কন্যারূপে পাবার জন্য কঠোর তপস্যা করেন গিরিরাজ হিমালয়। তাঁর ফলস্বরূপ লাভ করেন এই কন্যাকে। অসুরদের অত্যাচারে দেবকুল যখন বিপর্যস্ত, বারংবার পরাজিত হচ্ছেন, তখন ব্রহ্মা পরামর্শ দিলেন — দেবসৈন্যের সেনাপতি হবেন সেই কুমার, যে জন্মাবে হর-গৌরীর মিলনে। দেবতাদের আকুল প্রার্থনায় মা দূর্গা আবির্ভূতা হলেন শৈলপুত্রী রূপে। তাতে ফল হল তিনটি –দেবতাদের কার্যসাধন, হিমালয়ের বাঞ্ছাপূরণ ও শিবের তপস্যার পরিপূর্তি। উল্লেখ্য সতী দেহত্যাগ করলে শিব তাঁর শক্তিকে পুনরায় ফিরে পাবার জন্য তপস্যামগ্ন হয়েছিলেন। শিব ও শক্তির মিলনে জন্ম নিলেন কার্তিক — যিনি দেবতাদের সেনাপতি হয়ে নিহত করলেন ভয়ঙ্কর তারকাসুরকে ও স্বর্গ কে করলেন অসুরমুক্ত।
এইবার জেনে নেবো এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - “শশিকোটি প্রভাং চারুচন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম।
- ত্রিশূল বরহস্তাঞ্চ জটামন্ডিত মস্তকাম।।”
অর্থাৎ যার অর্থ হলো এই রূপ যথা –
- কোটি চন্দ্রের প্রভাবিশিষ্ট, মনোজ্ঞ অর্ধচন্দ্র দ্বারা বদ্ধকেশী, হস্তদ্বয়ে ত্রিশূল ও বর-ধারিণী, জটামন্ডিত মস্তক শৈলপুত্রী দেবীকে ধ্যান করি।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - ॐ শৈলপুত্রীম প্রপদ্যে,পুনর্ভুং ময়োভুম।
- কন্যাং শিখন্ডিনিং পাশহন্তাং যুবতীং কুমারীণীম।
ব্রহ্মচারিণী —
নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ হলেন ব্রহ্মচারিণী। “ব্রহ্ম চারইতুং শীলমস্যা:”। ব্রহ্মজ্ঞানদানে ব্রহ্মকে প্রাপ্ত করানো তাঁর স্বভাব। দেবরাজ ইন্দ্রকে তিনি ব্রহ্মজ্ঞান দিয়েছিলেন ব্রহ্মচারিণী রূপে।
দেবাসুরের সংগ্রামে একবার জয় হয় দেবতাদের। এতে খুব গর্ব অনুভব করেন দেবতারা। তাঁরা ভুলে গেলেন জয়ের উৎস যিনি তাঁকেই। সমবেত দেবতারা লক্ষ করলেন অদূরে এক অত্যুজ্জ্বল জ্যোতির্ময় বস্তু। ইন্দ্র অগ্নিকে আদেশ করলেন বস্তুটি কি জেনে আসতে। “আপনি কে ?”–অগ্নি এই প্রশ্ন করাতে এলো প্রতি জিজ্ঞাসা—“আপনি কে ?” “আমি অগ্নি”–বললেন অগ্নিদেব। “কি কার্য করতে পারেন আপনি ?”–প্রশ্ন করলেন জ্যোতির্ময় দেবতা। “ব্রহ্মান্ডে যাকিছু আছে ভস্মীভূত করে ফেলতে পারি আমি “–গর্বিত কন্ঠে উত্তর দিলেন অগ্নিদেব। “বটে !! তবে ভস্ম কর তো এই তৃণগাছি।” অগ্নির সন্মুখে একগাছি ক্ষুদ্র তৃণ রেখে এই কথা বললেন জ্যোতির্ময় দেবতা। কি আশ্চর্য ! সম্পুর্ন শক্তি প্রয়োগ করেও অগ্নিদেব সক্ষম হলেন না তুচ্ছ তৃণখন্ডকে দগ্ধ করতে। ভয়ে পালিয়ে গেলেন অহংকারী অগ্নিদেব। একই অবস্থা হলো পবনদেবেরও। সকল শক্তি প্রয়োগ করেও তিনি হাওয়ায় ওড়াতে পারলেন না তৃণগাছি।
শেষে দেবরাজ ইন্দ্র এগিয়ে আসতেই আত্মপ্রকাশ করলেন উমা হৈমবতী। তিনি কৃপা করে ব্রহ্মজ্ঞান দান করলেন দেবরাজ ইন্দ্রকে। বুঝিয়ে দিলেন, সংসারে কারো ক্ষমতা নেই কোনো কার্য করার। সকল শক্তির উৎস পরব্রহ্ম।
এরপর জেনে নেবো এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - “বৃষে উমা প্রকর্তব্যা পদ্মপরি ব্যাবস্থিতা।
- যোগপট্টতরা সঙ্গা মৃগসিংহপরিবৃতা।। ধ্যানধারণসন্তাননিরুদ্ধনিয়মেস্থিতা। * কমন্ডলুসমূত্রাক্ষবরদোদ্যতপানিণী।।
- গ্রহমালা বিরাজন্তি জয়াদই: পরিবারিতা। পদ্মকুণ্ডলধাত্রী চ শিবার্চনারতা সদা।।”
এই মন্ত্রের অর্থ হলো এই রকম –
–বৃষের উপর পদ্ম,তদুপরি অবস্থিত উমামূর্তি ধ্যান করতে হবে। মৃগ ও সিংহ কর্তৃক পরিবেষ্টিতা, ধ্যান ও ধারণা সন্ততি দ্বারা নিয়মিত সংযমকারিণী, কমন্ডলু, অক্ষমালা ও বরদ–হস্তা, গ্রহগণশোভিতা, জয়াদি সখীসমূহ দ্বারা পরিবেষ্টিতা, পদ্মের কুণ্ডলধারিণী ও সর্বদা শিবপূজারতা।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - ॐ বিন্ধ্যস্থানাং বিন্ধ্যনিলয়াং দিব্যস্থাননিবাসিনীম। যোগীনিং যোগতামাঞ্চ চন্ডিকাং প্রণমাম্যহং।।
চন্দ্রঘন্টা —
মা দুর্গার তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘন্টা। মহালক্ষ্মীস্বরূপিনী দেবী দূর্গা সমস্ত দেবগণের অঙ্গের জ্যোতি অবলম্বনে মহিষাসুর -বধের জন্য প্রকটিতা হন। দেবীর দশহাতে অস্ত্র উপহার দিলেন দেবতাগণ। এরমধ্যে ঘন্টা দিলেন দেবরাজ ইন্দ্র। ওই ঘন্টার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি –“দদৌ তসৈ সহস্রাক্ষ ঘন্টামৈরাবতাদ গজাৎ”। তাই অতি প্রচন্ড ঐ ঘন্টাধ্বনি। পন্ডিতেরা বলেন, মায়ের ঘন্টা সর্ববাদ্যময়ী। মহাবিশ্বের মূলে যে শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম, তা মা চন্দ্রঘন্টার ঐ মহাঘন্টার ধ্বনি থেকেই উদ্ভুত। দেবীর মাথায় ঘন্টার আকারের অর্ধচন্দ্র অবস্থিত। তাই এঁর নাম চন্দ্রঘন্টা। এই দেবীর কৃপায় সাধকের সমস্ত কষ্ট আর বাধা দূর হয় ও সাধকের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।
এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি সেটা একটু জেনে নিচ্ছি। ….
- ধ্যানমন্ত্র —
* - ব্যাঘ্রচর্মাম্বরা ক্রুরা গজচর্মত্তরীয়কা।
- মুন্ডমালাধরা ঘোরা শুস্কবাপীসমদোরা।।
- খড়্গপাশ ধরাতীব ভীষণা ভয়দায়িনী।
- খটাঙ্গধারিনী রৌদ্রা কালরাত্রিবিপরা।।
- বিস্তীর্ণবদনাজিহ্বাং চালয়ন্তি মুহুর্মুহ:।
- বিস্তারজঘনা বেগাজ্জঘানা সুরসৈনিকান।।
অর্থাৎ যার অর্থ হলো
—ব্যাঘ্রচর্ম যাঁর বস্ত্র, গজচর্ম যাঁর উত্তরীয়, যিনি ক্রুর প্রকৃতি, মুণ্ডমালাধারিনী, ভয়ঙ্করী, জলহীন সরোবরের মত যাঁর উদর, খড়্গ-পাশ ধারিনী, অতি ভীষণা, ভয়দায়িনী, দ্বিতীয় কালরাত্রি ন্যায় ভয়ঙ্করী, বিস্তীর্ণবদনা, খটাঙ্গধারিনী, মুহুর্মুহু জিহ্বাচালনাকারী, যিনি বেগে অসুরদের হনন করেছিলেন — সেই চন্দ্রঘন্টা দেবীকে ধ্যান করি।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - কালী করালবদনা, বিনিস্ক্রান্তাসিপাশিনী,
- বিচিত্র খটাঙ্গধরা, নরমালা-বিভুষনা।।
- দ্বীপিচর্মপরিধানা শুষ্কমাংসাতিভৈরবা অতি বিস্তারবদনা,
- জিহ্বালালনভীষণা নিমগ্না রক্তনয়না নাদাপূরিত দিঙমুখা।।
কুষ্মান্ডা —
নবদুর্গার চতুর্থ রূপ কুষ্মান্ডা। “উষ্মা” শব্দে বোঝায় তাপ। কুৎসিত তাপের নাম ‘কুষ্মা’। এই মরণশীল জগতে আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক ভেদে ত্রিবিধ তাপ। ‘অন্ড’ অর্থ উদর। যিনি উদরে কুষ্মা বহন করেন, তিনিই কুষ্মান্ডা। জননী উদরস্থ করেন ত্রিতাপ–পদাশ্রিত জনকে শান্তি দিতে। যারা অভয়ার পদ আশ্রয় করে না, তারা প্রতিনিয়ত ত্রিতাপে দগ্ধ হয়। আর যারা করে আত্মার্পণ ঐ রাঙা পদে, তাদের কু-কাম, কালিমা ও তাপত্রয় উদরস্থ করেন জননী। তারা লাভ করে পরাশান্তি — মায়ের শান্তিপ্রদ অঙ্কদেশ বা কোল। কুষ্মান্ডা সন্তানতাপহারিনী কল্যাণময়ী জননী।
দেখে নিই এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - কুষ্মান্ডা নাম প্রেতস্থা দন্তুরা বর্বরা গিরৌ।
- পূজিতা নবমাসে তু সর্বকাম প্রদায়িকা।।
এই মন্ত্রের অর্থ হলো
— কুষ্মান্ডা পর্বতবাসিনী, শবাসনস্থা, বৃহৎদন্তধারিনী ও নীচকুলজাত জীবগনেরও আশ্রয়–স্বরূপা। যাঁর পূজা করলে নয় মাসে সকল অভীষ্ট প্রদান করে থাকেন।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - কুষ্মান্ডগম্ভীরা শান্তা নিত্যং ধ্যানপরায়ণা।
- শিবসান্নিধ্যলাভায় যতন্তী নিয়তং ভৃশম।।
স্কন্দমাতা —
নবদুর্গার পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। দেবসেনাপতি কুমার কার্তিকের অপর নাম স্কন্দ। দেবতাদের প্রার্থনায় উমারূপে জন্মেছেন মহাদেবী — হিমালয়ের ঘরে, মেনকার গর্ভে। উমা যখন কৈশোরে পা দিয়েছেন, তখন একদা দেবতাদের পরামর্শে কামদেব গেলেন শিবের ধ্যান ভাঙাতে। ফুলের রেণু তুলতে না তুলতেই মদনদেব ভস্মীভূত হয়ে গেলেন মহাদেবের ক্রোধাগ্নিতে। পার্বতী বুঝলেন নিজের ভুল — কামদেবের সহায়তায় মহাদেবকে টলানোর চেষ্টা নিছক বিড়ম্বনা।
সাধনা চাই শিবকে পেতে, তপস্যা চাই শিবপ্রিয়া হতে। মহাতপস্যায় চললেন পর্বত-কন্যা। ‘উমা’, ‘উমা’ অর্থাৎ হে বৎস (উ), আর তপস্যা কোর না (মা) — এই বলে স্নেহময়ী মা মেনকা নিষেধ করলেন কত ! তবু গেলেন দেবী সুকঠোর তপশ্চরণে। শ্রেষ্ঠ তপস্বীরা বৃক্ষের গলিত পর্ণ খান, পার্বতী তাও খেলেন না; তাই ঋষিরা তাঁর নাম দিলেন ‘অপর্ণা’।
শক্তির ধ্যানে আছেন শিব, আর শিবের ধ্যানে বসলেন শক্তি। ধ্যানের ফলে ঘটল দুজনের মহামিলন। জন্মালেন কুমার কার্তিক। ইনিই দেব–সেনাপতি স্কন্দ। দেবীরও গৌরব তিনি স্কন্দের মত পুত্রের জননী —- “স্কন্দমাতা” — নবদুর্গার পঞ্চম রূপ।
এইবার জেনে নেবো এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - ॐ দ্বিভুজাং স্কন্দজননীং বরাভয়যুতাং স্মরেৎ।
- গৌরবর্ণাং মহাদেবীং নানালঙ্কারভুষিতাম।।
- দিব্যবস্ত্রপরিধানাং বামক্রোড়ে সুপুত্রিকাম।
- প্রসন্নবদনাং নিত্যং জগদ্ধাত্রীং সুখপ্রদাম।।
- সর্বলক্ষণসম্পন্নাং পীনোন্নতপয়োধরাম।
- স্কন্দমাতরং ধ্যেয়েৎ সর্বদাবিন্ধ্যবাসিনিং।।
অর্থাৎ যার অর্থ হলো এই রূপ যথা –
— বরাভয়যুক্তা দ্বিভুজাধারিনী স্কন্দজননীকে সর্বদা স্মরণ করবে। গৌরবর্ণা, নানা অলংকারে ভূষিতা, দিব্যবস্ত্র পরিহিতা, বামক্রোড়ে সুপুত্রধারিণী, সদা প্রসন্নবদনা, জগদ্ধাত্রী, সুখদায়িনী, সর্বসুলক্ষনাযুক্তা, পীনোন্নতস্তনী, সর্বদা বিন্ধ্যবাসিনী কার্তিকের জননীকে এইরূপে ধ্যান করিবে।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - জয় দেবী জগন্মাত: জগদানন্দকারিনী।
- প্রসীদ মম কল্যাণী, নমস্তে স্কন্দমাতৃকে।।
কাত্যায়নী —
নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ কাত্যায়নী । সতীর মরদেহ মহাদেবের স্কন্ধে, তা খন্ড খন্ড করে ভাগ করলেন বিষ্ণু নিজ সুদর্শনচক্র দিয়ে। বিভিন্ন স্থানে সতীর দেহ একান্নটি দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ল। সৃষ্টি হল একান্নটি মহাপীঠ। বৃন্দাবন এক মহাপীঠ। দেবী সেখানে বিরাজিতা কাত্যায়নীরূপে — নবদুর্গার ষষ্ঠ রূপ। তাঁর একটি কার্য অনন্যসাধারণ, সেটি হল সুদুর্লভ কৃষ্ণভক্তিদান। ‘চন্ডী’তে দেবীর সুখদা ও মোক্ষদা — দুটি স্বরূপের কথা জানা যায়। সুরথ রাজাকে দিলেন সুখ, সমাধি বৈশ্যকে দিলেন মোক্ষ। কাত্যায়নীরূপে দেবী ভক্তিদান করেন।
ভক্তি–ধন অতীব দুষ্প্রাপ্য বস্তু। এটি সাধনলব্ধ নয়। কোনো সাধনাতেই ভক্তি-সম্পত্তি লাভ করা যায় না। এটি একমাত্র কৃপালব্ধ সামগ্রী। কাত্যায়নীরূপিণী যোগমায়ার করুণায় তা লাভ হয়। তবে যাঁরা সুখ ও মোক্ষকে একান্তভাবে তুচ্ছ করতে পারে, যাঁদের কৃষ্ণসেবা ছাড়া আর কিছুই কাম্য নেই — তাঁদের দেবী দান করেন ভক্তি–প্রেমরূপ মহাসম্পদ।
ব্রজের গোপবালারা নন্দ-নন্দনকে পতিরূপে পাবার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন কাত্যায়নী দেবীর কাছে। তাঁদের প্রার্থনার মন্ত্র ভাগবতে দৃষ্ট হয় —
এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি সেটা একটু জেনে নিচ্ছি।
- “কাত্যায়নী ! মহামায়ে ! মহাযোগিন্যধিশ্বরী !
- নন্দগোপসুতে দেবী ! পতিং মে কুরু তে নম:।।”
* - ধ্যানমন্ত্র —
* - গরুড়ৎপলসন্নিভাং মণিময়কুণ্ডলমন্ডিতাম।
- নৌমি ভাববিলোচনাং মহিষত্তমাঙ্গনিষেদুষিম।।
- শঙ্খচক্রকৃপণখেটকবাণ কার্মুকশূলকম।
- তর্জনীমপি বিভ্রতিং নিজবাহুভি: শশীশেখরাম।।
এই মন্ত্রের অর্থ হলো এই রকম –
—-মরকতমণিরতুল্যবর্ণা (হরিদ্বর্ণ), মণিময়কুণ্ডলশোভিতা, ভাবপূর্ণনেত্রাবিশিষ্টা, মহিষমস্তকস্থা কাত্যায়নীকে নমস্কার করি। যিনি শঙ্খ, চক্র, অসি, খেটক (যষ্ঠী), বাণ, ধনু, শূল ও তর্জনী ধারণ করে আছেন, যাঁর মস্তকে চন্দ্র বিদ্যমান –সেই কাত্যায়নী দেবীকে ধ্যান করি।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - কাত্যায়নীং দশভুজাং মহিষাসুরমর্দিনীং।
- প্রসন্নবদনাং দেবীং বরদাং তাং নমাম্যহম।।
- যঙ যঙ পশ্যাম্যহং দেবী স্থাবরজংমেসু চ।
- তং তং ব্যাপ্তং ত্বয়া সর্বং কাত্যায়নী নমহস্তুতে।।
কালরাত্রি —
নবদুর্গার সপ্তম রূপ কালরাত্রি ।
কালরাত্রি মা দুর্গার একটি নাম। এমন নামের অবশ্যই কারণ আছে। ঋগ্বেদের দশম মন্ডলের “রাত্রিসুক্ত”-এ পরমাত্মাকে বলা হয়েছে রাত্রি। পরমব্রহ্মই রাত্রি। ব্রহ্মময়ী মা ঐ রাত্রিরই শক্তি। রাত্রিতে জীবজগৎ বিরত হয় সমস্ত কার্য থেকে। বিশ্রামলাভ করে সকলে। প্রলয়কালে এই রাত্রিরূপিণী মাতার ক্রোড়ে বিলয় ঘটে বিশ্বের। মায়ের অঙ্গে বিশ্রাম নেয় নিখিল জীবনীবহ। মহাপ্রলয়ের রাত্রিই মহারাত্রি ! দেবী এই রাত্রিরূপা।
মহারাত্রি থেকে কালরাত্রি গভীরতর। মহারাত্রিতে সংসার লয় হয়, কিন্তু পরমপুরুষ মহাবিষ্ণু জেগে থাকেন। কালরাত্রিতে মহাবিষ্ণুও ঘুমিয়ে পড়েন। অনন্তশয্যা বিস্তার করে নিদ্রিত ভগবান কি করেন ? “শ্রীশ্রীচন্ডী” তে বলেন, তিনি যোগনিদ্রাকে ভজনা করেন। এই যোগনিদ্রাই মহাকালিকা বা কালরাত্রি। প্রত্যহ দিবাবসানে কর্মক্লান্তির পর মানুষ যাঁর কোলে বিশ্রাম নেয়, আবার প্রভাতে যাঁর কোল থেকে উত্থিত হয় নতুন উদ্যম নিয়ে—তিনি কালরাত্রি। দেবীর অংশভূতা কুন্ডলিনী কালিকা। বিশ্বকে, বিশ্বজীবকে, বিশ্বনাথ ও কালশক্তিকে যিনি স্তব্ধ করেন তিনিই দেবী কালরাত্রি—নবদুর্গার সপ্তম রূপ।
এইবার জেনে নেবো এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - কালরাত্রিং মহামায়ায়ং শক্তিশূলাসিধারিণীম।
- সর্বায়ুধধরাং রৌদ্রীং খেটপট্টিশধারিণীম।।
- করলদ্রংষ্ট্রাং বিম্বৌষ্ঠিং সর্বলক্ষণসংযুতাম।
- সূর্যকোটিসহস্রেন অযুতাযুতবর্চসা।।
- বিচিত্রাভরণপেতাং দিব্যকাঞ্চনভুষিতাম।
- দিব্যাম্বরধরাং দীপ্তাং দীপ্তকাঞ্চনসুপ্রভাম।।
- সর্বৈশ্বর্যময়ীং দেবীং কালরাত্রিমিবদ্যতাম।
- লীলাধারাং মহাকায়াং প্রেক্ষৎ কাঞ্চীগুণস্রজাম।।
- খড়্গমেকেন হস্তেন করেনান্যেন খেটকাম।
- ধনুরেকেন হস্তেন শরমন্যেন্য বিভ্রতীম।।
- তর্জয়ন্তীং ত্রিশূলেন জ্বালামালাকৃতি প্রভাম।
অর্থাৎ যার অর্থ হলো এই রূপ যথা –
— কালরাত্রি মহামায়া শক্তি, শূল ও অসি-ধারিণী, সর্বায়ুধধারিণী, ভীষণা, খেট ও কুঠার–ধারিণী, ভীষণদর্শনা, বিম্বৌষ্ঠী, সর্বসুলক্ষণযুক্তা। সহস্রকোটি সূর্যের তেজ:পুঞ্জধারিণী, বিচিত্র আভরণবিশিষ্টা, দিব্যস্বর্ণবিভুষিতা। দিব্য বস্ত্রধরা, দীপ্তা, দীপ্তকাঞ্চন প্রভাবিশিষ্টা। সর্বৈশ্বর্যময়ী কালরাত্রির ন্যায় আবির্ভূতা দেবী লীলার আধার, বিশাল দেহবিশিষ্ট উজ্জ্বল কাঞ্চী ভূষণধারীণী। এক হস্তে খড়্গ, অন্য হস্তে খেটক, অপর হস্তে ধনু ও অন্য হস্তে শর ধারণ করে ত্রিশূল দ্বারা তিনি (দৈত্যগণকে) তর্জন করছেন এবং তেজ:পুঞ্জ দ্বারা প্রভাবিশিষ্ট হয়েছেন।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - কালী কালী মহাকালী, কালিকে কালরাত্রীকে।
- ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী কালরাত্রি নমস্তুতে।।
মহাগৌরী —
নবদুর্গার অষ্টম রূপ মহাগৌরী ।
দেবাদিদেব একদিন কালরাত্রিদেবীকে উপহাস করলেন “কালো মেয়ে” বলে। দেবী অভিমানিনী হয়ে নিযুক্ত হলেন কঠিন তপস্যায়। তপস্যার পর নিজের কালো বরণ দিলেন ভর্তাকে আর নিজে হলেন গৌরী। শুধু গৌরী নয় — মহাগৌরী। যিনি বিদ্যুদ্বর্না। মহাকালী ছিলেন সন্তান-বৎসলা আর মহাগৌরী হলেন স্বামী–সোহাগিনী। নবদুর্গার অষ্টম রূপ।
শক্তি–শক্তিমানে অনন্ত লীলাবৈচিত্র্য। তাঁরা কতরূপে যে কত খেলা খেলেন কে করবে তাঁর ইয়ত্তা। অবোধ জীব দ্বন্দ করে :যাঁরা তত্ত্বরসিক তাঁরা তা উপভোগ করে।
এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি সেটা একটু জেনে নিচ্ছি।
- ধ্যানমন্ত্র —
* - গৌরীং রত্ননিবদ্ধনূপুরলসৎ পাদাম্বুজামিষ্টদাম।
- কাঞ্চীরত্নদুকূলহারললিতাং নীলাং ত্রিনেত্রজ্জ্বলাম।।
- শূলাদ্যস্ত্র সহস্রমন্ডিতভুজামুদ্বক্ত্রপীনস্তনীম।
- আবদ্ধামৃতরশ্মিরত্নমুকুটাং বন্দে মহেশপ্রিয়াম।।
যার অর্থ হলো এই রূপ যথা
— রত্ননির্মিত নূপুরশোভিত চরণবিশিষ্টা, অভীষ্ট প্রদয়িনী, নিতম্বদেশ রত্নবস্ত্র ও হার শোভিতা, নীলকান্তি, ত্রিনয়না উজ্জ্বল-কান্তি, শূলাদি সহস্র অস্ত্রে শোভিতহস্তা, স্থুলোন্নত স্তনবিশিষ্টা, চন্দ্রশোভিত রত্ন-মুকুটধারিণী, মহেশপ্রিয়া মহাগৌরীকে বন্দনা করি।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - বৃষারুরাং শুভং শুভ্রাং ত্রিনেত্রাং বরদাং শিবাম।
- মহাগৌরীং নমাম্যদ্য সৃষ্টিসংহারকারিনীম।।
সিদ্ধিদাত্রী —
নবদুর্গার নবম রূপ সিদ্ধিদাত্রী ।
যিনি সাধককে সর্বকর্মে সিদ্ধিদান করেন, তিনিই সিদ্ধিদাত্রী। গীতায় শ্রীভগবান অর্জুনকে বলেছেন — “যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম।” — যে আমাকে যেভাবে উপাসনা করে,তাকে সেইভাবে তুষ্ট করি। এই তুষ্টিকারিণী শক্তি সিদ্ধিদাত্রী জননী — নবদুর্গার নবম ও শেষ রূপ। মা পদ্মের উপর আসীনা। সমস্ত যোগী, জ্ঞানী, ঋষি-মুনি, সাধক মায়ের আরাধনা করেন।
অনিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রকাম্য, ঈশিত্ব ও বশিত্ব এই আটপ্রকার সিদ্ধিই দান করেন বলে মায়ের নাম সিদ্ধিদাত্রী। মহাদেব মাতা সিদ্ধিদাত্রীর সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন ও মায়ের দেহে ‘অর্ধনারীশ্বর’ রূপে অবস্থান করেন। এই দেবীর সাধনা শেষে সাধকের নবদুর্গার পূজা সম্পন্ন হয়।
এইবার জেনে নিই এই দেবীর ধ্যানমন্ত্র ও প্রণাম মন্ত্র টি কি ?
- ধ্যানমন্ত্র —
* - উদ্যদাদিত্যরাগরঞ্জিতাং যোগমায়াং মহেশ্বরীম।
- শিব’বিরিঞ্চিকেশবমুকুটসেবিতচরণাম।।
- সূর্যশশাঙ্কস্পন্দনানন্দস্ফুরণমন্ডিতাম।
- নিত্যং স্থিরাং সিদ্ধামরবেষ্টিতাম।।
- পূতপ্রণবরাগরচিতং চমৎকৃতবিকশিতবিন্দুম।
- দিগ্বাসিনিং প্রপুজিতাং অভয়াং বরদাং বিশ্ব’জননীম।।
- শিবমাতাং শিবানীঞ্চ ব্রহ্মানীং ব্রহ্মজননীম।
- বৈষ্ণবীং বিষ্ণুপ্রসুতিং ত্রিপুরাং ত্রিপুরেশ্বরীং।।
- নমামি মাতরং সিদ্ধিদাত্রীম।
এই মন্ত্রের অর্থ হলো এই রকম –
— যিনি প্রাতঃ সূর্যের ন্যায় রক্তরাগে রঞ্জিতা যোগমায়া মহেশ্বরী, যিনি শিব, ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মুকুট দ্বারা সেবিতচরণা, চন্দ্র-সূর্যের কম্পনজনিত আনন্দ স্ফুরণে স্ফুরিতা; যিনি নিত্যা, স্থিরা, সিদ্ধ ও অমরগনের দ্বারা পরিবেষ্টিতা, যিনি পবিত্র প্রণবের (ॐ মন্ত্র) সুরের মূর্ছনায় বিন্দুকে বিকশিত করেন, দিগম্বরা, বিশ্বব্যাপিনী পূজিতা হয়ে অভয় ও বর দান করেন, বিশ্বজনীন, শিবমাতা ও শিবপত্নী, ব্রহ্মশক্তি ও ব্রহ্মজননী, বিষ্ণুশক্তি ও বিষ্ণুজননী, ত্রিপুরা ত্রিপুরেশ্বরী — সেই সিদ্ধিদাত্রী মাতাকে নমস্কার করি।
- প্রণাম মন্ত্র —
* - সর্বদেবময়ীং দেবীং সর্বরোগ ভয়াপহাম।
- ব্রহ্মেশবিষ্ণুনমিতাং প্রণমামি সদাশিবাম।।
প্রিয় বন্ধুরা আজকের অনুষ্ঠান এপর্যন্তই। খুব তারা তারি ফিরে আসবো নতুন কোনো অজানা তথ্যের ভিডিও নিয়ে। সকলে ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন ,দূর্গা পূজায় খুব আনন্দ করুন আর দেখতে থাকুন আমাদের চ্যানেল সমাধান।